২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বিপদে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ: প্রধানমন্ত্রী

বিপদে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
পঁচাত্তরের কালরাতে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ওপর চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল তখন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব স্মৃতিচারণা করেন তিনি।

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে পূর্বসূরিদের ঐতিহ্য ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, এই রাজারবাগে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা আপনাদেরই ভাই, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।

পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলিতে আহত ছিলেন আমার ফুফু ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের ছেলে, স্ত্রীসহ আমার ফুফাতো ভাই-বোনেরা। যখন খুনিরা আক্রমণ করে চলে যায়, তখন রমনা থানা থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়িতে গিয়ে আহত-নিহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। শুধু পুলিশের এই সাহসী ভূমিকায় আমার ফুফু বেঁচে ছিলেন। তিনি পঙ্গু অবস্থায় বাকি জীবন কাটান। আমার দুই ফুফাতো বোন ও ভাই বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হামলায় বাধা দিতে গিয়ে গুলিতে নিহত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসপি সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ছয় বছর তিনি ছোটবোন শেখ রেহানাসহ রিফিউজি জীবন কাটাতে বাধ্য হন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় দেশে ফেরেন তিনি। তখন জাতির পিতার খুনিরা ক্ষমতায়, তথাপি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে একরকম জোর করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। তার পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাহস ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সার্ভিসের কৃতি সদস্যদের পুলিশ পদক পরিয়ে দেন।

রাজারবাগে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর পুলিশ লাইনসে এই অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019